সিলেটের আলো : কুশিয়ারা নদীতে হঠাৎ উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।বন্যায় ভেসে জকিগঞ্জের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন।মানুষের বসতবাড়ি,পুকুর গৃহপালিত পশু পাখি নিয়ে চরম বিপদে।এর মধ্যে অসুস্থ,শিশু,বড়ো ও গর্ভবর্তী মহিলা নিয়ে অনেকেই টেনশনে রয়েছেন,এদের বাড়তি পরিচর্যার কোন সুযোগ না থাকায়।
ঈদের আনন্দ ভেসে গেছে বন্যায়।সাধারণ মানুষ স্থবির ও নিশ্চুপ।গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষন ও পাহাড়ি ঢলে জকিগঞ্জে বন্যা মারাত্নক আকার ধারন করেছে। জকিগঞ্জ সদর ইউনিয়ন, পৌরসভা, বারঠাকুরী, বারহাল, মানিকপুর ,কাজলশাহ ও খলাছড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে ডাইক ভেঙ্গে ও ডাইকের উপর দিয়ে প্রবল বেগে পানি ঢুকে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত করেছে।আজ সকাল থেকে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে,অনেক বাড়িঘর,শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন পানির নিচে।অনেক মানুষ মাচাং বেঁধে ঘরে বসবাস করছে এবং অনেকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গেছে।আজ শনিবার সকালে বন্যাদুর্গত এলাকার খোঁজ খবর নিতে ছুঁটে আসেন সিলেট ০৫ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ও বিরোধী দলীয় হুইপ সেলিম উদ্দিন এমপি।তিনি আজ জকিগঞ্জের সদর ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৬,৭,৯ নং ওয়ার্ডসহ বিভিন্ন বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেন।এ সময় উনার সাথে জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ,পৌরসভার মেয়র হাজী খলিল উদ্দিন,সাবেক মেয়র ফারুক আহমদ,জকিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্য হাবিবুর রহমান হাওলাদার,উনার ব্যক্তিগত সহকারী(পিএস)রুহোল আমিন সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।তিনি তাৎক্ষনিক ২০ হাজার টাকা ১০০০ বস্তা বালু দিয়ে পানি প্রতিরোধের জন্য কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন,এবং এ বিষয়ে সরকারের উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার আশ্বাস প্রদান করেন।ইতিমধ্যে জকিগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নের বন্যা পরিস্থিতি মারাত্নক আকার ধারন করেছে।এ পর্যন্ত উপজেলার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দী রয়েছে বলে জানা যায়।উপদ্রুত এলাকায় এ পর্যন্ত দেড় টন চাল ছাড়া আর কোনো ত্রান সামগ্রী এসে পৌছেনি।উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিজন কুমার সিংহ জানান,এ পর্যন্ত কতজন লোক পানিবন্দী বা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে তার পূর্ণ তালিকা নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।তবে তিনি জানান,পানির বেগে ভেঙ্গে যাওয়া ডাইকগুলোর মেরামতের কাজ চলছে। এ পর্যন্ত সরকারি ভাবে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি।কাজলশাহ ইউনিয়নের বাসিন্দা ও স্থানীয় এক সাংবাদিকের সাথে এ প্রতিবেদক যোগাযোগ করে সুরমা নদীর পানি ও আটগ্রাম বাজারের পশ্চিমের ভাঙ্গা ডাইকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন এখনও প্রচন্ড বেগে পানি এলাকায় পানি ডুকছে,অনেক মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারতেছে।আর এর জন্য দায়ী এই বাঁধের ঠিকাদার বারহাল ইউনিয়ের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমদ,তিনি এই কাজ এনে কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও নাম মাত্র টাকা দিয়ে দায়সারা কাজ দেখিয়ে সব টাকা আত্মসাৎ করায় আজ আমাদের এই অবস্থা।তিনি এর বিচার ও দাবি করেন